মানসিক সাস্থ্য ভালো রাখার উপায়

মানসিক সাস্থ্য হলো সম্পূর্ণ মানসিক গত সমস্যা।  দুশ্চিন্তা মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ব্যক্তি মানসিক অশান্তিতে ভোগে। মানসিক ও মনস্তাত্ত্বিক স্থিতি এবং সুখবর্ধনের জন্য একটি সাধারণ পরিস্থিতি যা একজন ব্যক্তির মনের এবং ভাবনার স্বাস্থ্যকে বোঝায়। এটি মানসিক স্বাস্থ্যের গুণগত অবস্থা, মনোসম্পন্নতা, মনোসম্বন্ধীয় সমস্যার অস্তিত্ব, স্বস্তির স্তর এবং সাধারণ ভালবাসার সাথে সম্পর্কিত।


মানসিক স্বাস্থ্য


মানসিক সাস্থ্য প্রভাবিত হতে পারে বিভিন্ন মনোসম্বন্ধীয় সমস্যার দ্বারা, যেমন বিপোলার ব্যাধি, অতিরিক্ত উদাসীনতা, অতিরিক্ত আবেগ, মানসিক মারাত্মকতা, ওয়ার্কলে স্ট্রেস, সামাজিক বিদ্বেষ, অভিযোগপ্রবণতা, দারিদ্র্য এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সাধারণ অস্তিত্বকে সম্পর্কিত সমস্যার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্য ব্যক্তির শিক্ষামূলক, নিজস্বতা, সৃজনশীলতা এবং নিজের সাথে এবং অন্য সাথে সমাজে বেঁচে থাকার শক্তি যোগাবে।

মানসিক স্বাস্থ্য বলতে কী বোঝ

মানসিক স্বাস্থ্য হলো মানসিক ও মনস্থল সম্পর্কিত সামগ্রিক সুস্থতার অবস্থা। এটা মানসিক ও মানসিক সামরিক স্বাস্থ্যকে বিশ্বাস করে একইসাথে শক্তিশালী করে তুলে ধরে। মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পূর্ণ অবস্থা ব্যাপক হতে পারে এবং এটা মানব ব্যক্তিত্ব, ভাবনা, বুদ্ধিমত্তা, সঙ্গঠনশীলতা, সামাজিক সম্পর্ক, এবং সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে প্রভাবিত হয়। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো হলে একজন ব্যক্তির মন সুস্থ থাকে, সে উচ্ছ্বসিত থাকে, সমস্যা সমাধান করতে পারে, পরিবার ও সমাজের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতে পারে, সৃজনশীলতা ও সামরিক কাজের প্রতি আগ্রহী হয়, ধার্মিক ও আধ্যাত্মিক সংগঠনে আগ্রহী হয়, এবং সাধারণত জীবনের মেধা ও কাজক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে।


মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়


মানসিক স্বাস্থ্য কে সম্পূর্ণরূপে উৎফুল্ল এবং ভালো রাখার জন্য আপনাকে প্রতিনিয়ত সরিষার চাওয়া অর্থাৎ ব্যায়াম সুষম খাবার তথা আপনার শারীরিক গঠনকে পরিপূর্ণভাবে একটা নিয়ম তান্ত্রিক জীবন ব্যবস্থার মধ্যে নিতে হবে। এমন একটি নিয়ম তান্ত্রিক জীবন ব্যবস্থার মধ্যে নিতে হবে যে নিয়মতান্ত্রিক জীবন ব্যবস্থা একজন ভবন এবং সুস্থ ব্যক্তিকে বেড়ে উঠতে শক্তি যোগায়। একজন সুস্থ ব্যক্তির দৈনিক রুটিন অনুযায়ী চলতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিনিয়ত নির্ধারিত ব্যায়াম এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির মানসিক শারীরিক সকল সমস্যা থেকে মুক্তি মিলে।

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং পরিচ্ছন্নতার সাথে নিয়মিত সম্পর্কিত। এখানে কিছু প্রাথমিক উপায় দেওয়া হলো:


1. পর্যাপ্ত নিদ্রা: স্বাস্থ্যকর নিদ্রা নিশ্চিত করতে ভালো ঘুম খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং একটি ঘুম বন্ধ পরিবেশ খুবই প্রয়োজন। প্রতিদিন 7-8 ঘণ্টা ঘুমানোর  চেষ্টা করুন। নির্দিষ্ট সময় পরিণত ঘুমের খুবই প্রয়োজন একটি স্বাস্থ্যবান ব্যক্তিকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য। আপনার যখন ঘুমের প্রয়োজন তখন যদি আপনি না ঘুমিয়ে অন্য একটি সময় ঘুমান যদিও ওই সময় ঘুমানোর কোন পরিবেশ না তাহলে আপনার স্বাস্থ্য কখনো ভালো হবে না বরং আরো খারাপ হবে।

তাই স্বাস্থ্যবান এবং মানসিক স্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়ার জন্য বা মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমের প্রয়োজন এবং প্রতিনিয়ত সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে প্রতিনিয়ত সবথেকে আট ঘন্টা ঘুমাতে হবে।


2. ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম করা মানসিক স্বাস্থ্য উন্নতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট সময়ে দিনের একটি অংশ ব্যয়ামের জন্য নির্ধারণ করুন। যেকোনো ধরনের ব্যায়াম, যেমন হেল্থ ক্লাবে যোগ দেওয়া, ডান্স, জগিং, ফুটবল, ক্রিকেট, বাস্কেটবলজ হ্যান্ডবল, ইত্যাদি আপনার ব্যায়াম করার একটি মাধ্যম হতে পারে।


3. নিয়মিত মেডিটেশন এবং যোগাযোগ: মেডিটেশন মানসিক শান্তি এবং স্থিরতা উন্নতির সাধারণ করে। সকাল ও সন্ধ্যায় মেডিটেশন করুন। মেডিটেশন মূলত এক ধরনের ধ্যান আপনি একটি নির্দিষ্ট চিন্তা নিয়ে মেডিটেশন করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করতে পারেন।


মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ

মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ গুলোর মধ্যে প্রধানত যে লক্ষণগুলো সব থেকে বেশি গ্রহণযোগ্য সেগুলো হলো"মাথাব্যথা, বুকে ব্যথা, শ্বাসে সমস্যা, অনীহা বা দুর্বলতা"যদি কোন ব্যক্তির মধ্যে এই ধরনের লক্ষণ গুলো দেখা যায় এবং চেকআপ বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরে যদি তার শারীরিক কোন সমস্যা বা রোগে আক্রান্ত না থাকে তাহলে বুঝে নিতে হবে সে মানসিক রোগে আক্রান্ত বা মানসিক রোগে ভুগছেন। এবং বিশেষজ্ঞ বা ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যাবতীয় ট্রিটমেন্ট এবং উপকরণগুলো ব্যবহার করতে হবে।

মানসিক রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য অবশ্যই পরিমিত ঘুম পুষ্টিকর খাবার নিজের একটি সুন্দর স্বাধীনতার প্রয়োজন যেগুলো কোন ব্যক্তি সুস্পষ্টভাবে ভোগ করতে পারলে সে মানসিক রোগ থেকে খুব দ্রুত পরিত্রাণ পাবে। মানসিক রোগ মূলত একজন ব্যক্তির একাকীত্বতার মধ্য থেকে তৈরি হয়। একজন ব্যক্তি যখন একাকীত্ব তার মধ্যে ভোগে তখন সে তার মানসিক চাপ গ্রস্ত হয়ে একসময় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং মানসিক রোগের মধ্যে আক্রান্ত হয়।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url