রাতে ভাত খাওয়ার সাথে সাথেই শুয়ে পড়ার কারণে ক্যান্সার হতে পারে।

খাদ্য নালীর ক্যান্সার লক্ষণ - রাতে খাবার পরে শুয়ে পড়লে কি হয়? 

অনেকে খাবার পরে পেট ভারী লাগে তাই তারা খাবার সাথে সাথে শুয়ে পড়ে অথবা কেউ ঘুমিয়ে যায়। আবার অনেকে সারাদিনের ক্লান্তি দূর করার জন্য খাবারের শেষে সাথে সাথে শুয়ে পড়ে এটা তাদের মনে হয় তারা একটু শান্তি বা আরাম অনুভব করছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি মত পোষণ করে। বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছে যে খাওয়ার সাথে সাথে শুয়ে পড়লে বদহজম,এসিডিটি,ওজন বাড়াতে পারে।

আমরা সারাদিনের কার্যক্রম সেরে যখন দিন শেষে সন্ধ্যাবেলা বাসায় ফিরি তখন আমরা খাবার রেডি করে খাবার খেয়ে সাথে সাথে শুয়ে পড়ার জন্য তৈরি হয়ে যাই।

সারাদিন কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন ব্যস্ততার মধ্যে শরীর প্রচুর ক্লান্ত বোধ করে তাই বাসায় এসে খাবার পরি খুব তাড়াতাড়ি ঘুম চলে আসে এবং আমরা শুয়ে পড়ি, ঘুমিয়ে যাই।

আমরা মনে করি এটি আমাদের জন্য ভাল কারণ আমরা সারাদিনের ক্লান্তি শেষে বিশ্রামের জন্য শুয়ে পড়লেই আমরা নিজেকে আবার আগের শক্তি পূরণ করতে সক্ষম হব।

কিন্তু বিষয়টা মোটেও এরকম নয়, আপনি যখন সারাদিনের ক্লান্তের পরে বাসায় ফিরে ভাত খাওয়া সাথে সাথেই শুয়ে পড়েন তখন আপনার খাদ্যনালীতে খাদ্যগুলো রিফ্লাক্স হয়। ইতি আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

খাদ্য নালীর ক্যান্সার লক্ষণ - রাতের খাবার খাওয়া মাত্রই শুয়ে পড়ো থেকে বিরত থাকুন :

খাদ্য নালীর ক্যান্সার লক্ষণ - রাতের খাবার খাওয়া মাত্রই শুয়ে পড়ার কুফল?

এর আগে শুয়ে পড়লে খাদ্যনালীতে খাবার গুলো জমে থাকে এবং এরকম জমতে জমতে একসময় ক্যান্সার এর মত ভয়াবহ এবং মারাত্মক সমস্যা তৈরি হতে পারে।

তাই প্রত্যেকটি মানুষের উচিত রাতে খাবারের পরে অন্তত দুই ঘন্টা হাটাহাটি করা বা না ঘুমিয়ে থাকা না শুয়ে থাকা। সারাদিনের পরিশ্রমের পরে অবশ্যই ক্লান্তি আসবে কিন্তু রাতে তাড়াতাড়ি খাওয়াটা কোন সমস্যা নয়। সমস্যাটা হচ্ছে যখন খাওয়ার সাথে সাথে শুয়ে পড়ে তখন।

তাই শরীরকে সুন্দর এবং রোগমুক্ত রাখার জন্য রাতে খাবারের সাথে সাথে না ঘুমিয়ে অন্তত দুই ঘন্টা ব্যায়াম করুন হাঁটাচলা করুন এটা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কার্যকর।

খাদ্য নালীর ক্যান্সার লক্ষণ - রাতের খাবার না খেলে কি হয় ?

রাতের খাবার খাওয়া মাত্র শুয়ে পড়লে বা ঘুমিয়ে গেলে যেমন সমস্যা হয় তেমনি রাতের খাবার না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে তার থেকে বেশি সমস্যা হতে পারে। রাতে না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ার কারণে যে সমস্যাগুলো হতে পারে তার মধ্যে প্রধানত সমস্যাগুলো হল:

• আস্তে আস্তে রোগা হয়ে যাওয়া
• ভিটামিনের অভাব কমে যাওয়া
• মাইক্রো নিউট্রিশনাল ঘাটতি
• ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন বি১২ ভিটামিন ডি থ্রি অভাব দেখা দেয়
• মেটাবলিজমের ক্ষতি
• কোলেস্টেরল ও থাইরয়েড এর ঘাটতি লক্ষ্য করা যায়

ইত্যাদি

খাদ্য নালীর ক্যান্সার লক্ষণ - রাতের খাবার কখন খাওয়া সুন্নত

বিশেষজ্ঞদের মতে রাতে সর্বোচ্চ ৬ টা থেকে ৭ টার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে নেওয়া উত্তম। গভীর রাত্রে রাতের খাবার খেলে শরীরের সম্পূর্ণ পুষ্টি অর্জন করতে সক্ষম হয় না। আর এই সময়ে অর্থাৎ ছয়টা থেকে সাতটার মধ্যে খাবার খেয়ে নেওয়া ইসলামিক শরীরে মোতাবিক সুন্নত। এবং অনেক রাত্র করে ভাত খেলে দেহের ভিতরে ক্যালোরি উৎপাদন করতে ব্যর্থ হয় এবং ট্রাইগ্লিসারাইড’ নামক ফ্যাটি অ্যাসিডে রূপান্তরিত সৃষ্টি হয় যেটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

একজন 15 বছর বয়সীর কতক্ষণ জিমে করতে হবে?

আমাদের শেষ কথা :

জিম সম্পর্কিত যেকোন তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। এবং আমাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য আমাদের about us পেইজ ভিজিট করুন। যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট স্বল্প মূল্যে তৈরি করার জন্য আমাদেরকে নক করতে পারেন ।