স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কি করা উচিত | শরীর সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়াম
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। সুখী হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে প্রধান হলো নিজের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা। সুন্দর রাখার জন্য স্বাস্থ্যের দেখভাল করা খুবই দরকারি একটি কাজ। সুন্দর স্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যের দেখভাল করার জন্য বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে যেগুলোর স্বাস্থ্যের জন্য সর্বাধিক সহায়ক হতে পারে।
এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে যাওয়ার অত্যন্ত কার্যকরী। স্বাস্থ্য বিনোদন ইত্যাদি আর্টিকেল সঠিকভাবে পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করুন এবং সাথেই থাকুন।
শরীর সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়াম | শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার কয়েকটি কার্যকরী উপায় | স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কি করা উচিত
১. শরীর সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়াম - সঠিক খাবার খাওয়া - সুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের চল্লিশ ধরনের নিউট্রিশিয়ানের প্রয়োজন পড়ে। কোন একক খাবারের মধ্যে তা বিদ্যমান থাকে না এবং কোন একক খাবার তা দিতে পারেনা। তাই সুষম খাবার এবং নিউট্রিশিয়ানযুক্ত খাবার নির্বাচন করতে হবে। এছাড়া খাদ্য তালিকা পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে।
পুষ্টিকর খাবার সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পুষ্টিকর খাবারে উচ্চ ফাইবার কম্প্যাক্ট এবং উদ্ভিদভিত্তিক খাদ্য বিদ্যমান থাকে। তাছাড়া কম কালো ক্যালোরিযুক্ত খাবার যেমন মুরগি মাছ খাওয়া যেতে পারে।
দিনে কমপক্ষে পাঁচ থেকে সাতটি ফল এবং শাকসবজি খাওয়া উচিত। আপনি সঠিকভাবে খাচ্ছেন কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করতে পারেন। আপনি কি খাচ্ছেন তা যদি আপনি সঠিকভাবে নিশ্চিত না হন তাহলে nhs তালিকা অনুযায়ী খেতে পারেন। উচ্চ আস যুক্ত খাবার যেমন আলু, চাল ,পাস্তা, রুটি। দুধ বা দুগ্ধ জাতীয় খাবার। সিম ডাল মাছ মাংস এবং অন্যান্য প্রোটিন সম্পৃক্ত তেল এবং অল্প পরিমাণে স্যান্ডউইচ দিনে কমপক্ষে ছয় থেকে আট গ্লাস পানি পান করা ।
তাছাড়া আমাদের পাকস্থলীতে মাইক্রো বায়োম নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া রয়েছে । এই ব্যাকটেরিয়া মানুষের সুস্বাস্থ্যের উপর গভীরভাবে প্রভাব ফেলে।
২. শরীর সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়াম - শাকসবজির ফলমূল জাতীয় খাবার - শরীরকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলোতে প্রায় সকল ধরনের ভিটামিন বিদ্যমান থাকে। শরীর সুস্থ রাখতে আপনি যত ধরনের ওষুধ বা শরীর স্বাস্থ্য করেন না কেন শরীরের পুষ্টি ভিটামিনের চাহিদা মেশাতে শাকসবজি আপনাকে খেতেই হবে। বিশ্বের যত বড় বড় ডক্টরে এবং বিশেষজ্ঞ রয়েছেন তারা সকলেই সুস্থ সফল থাকার জন্য প্রাকৃতিক খাবার যেমন শাকসবজি খাওয়ার জন্য বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
প্রতিদিন এ ধরনের প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ার ফলে মানুষের দেহের শর্করা ভিটামিন এবং খনিসের চাহিদা যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি দেহের সকল ধরনের অসুখ-বিসুখ এর হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। তাই শরীর সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত পরিমিত শাক-সবজি ফলমূল জাতীয় খাবার সেবন করতে হবে।
৩. শরীর সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়াম- পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন - একজন মানুষের দেহে 60 থেকে 70 ভাগ পানি। শুধু যে তৃষ্ণা না মেটানোর জন্য পানি পান করা হয় বা খাওয়া হয় তা কিন্তু মোটেও নয়।
পানি ধরনের আরও বেশ কিছু উপকারিতা বিদ্যমান রয়েছে। ফানি আমাদের বদহজম ডিহাইড্রেশন এবং মাথাব্যথা থেকে শুরু করে আরো অনেক সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে। এছাড়াও আরো পানির বিশেষ বিশেষ কিছু গুণাবলী রয়েছে।
গরমে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, দেহের ও প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে, হাড়ের জোর বৃদ্ধিতে সহায়তা কর,ত্বক ভালো রাখতে সহযোগিতা করে, নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার ফলে আরও বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আর একটি মানুষকে সুস্থ রাখতে পানির বিকল্প কিছুই নেই।
৪. শরীর সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়াম - যথেষ্ট পরিমাণে ঘুম ও বিশ্রাম করুন - শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে ঘুম এবং বিশ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সঠিক ভাবে ঘুমের সময়সূচী অনুযায়ী ঘুমানো এবং বিশ্রাম করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
আজকে ৫ ঘন্টা কালকে ২ ঘন্টা পরশুদিন তিন ঘন্টা এমন অনিয়মিত না ঘুমিয়ে একটি নির্দিষ্ট টাইম করে সঠিক সময় এবং পরিমিত ঘুমান এতে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক রাতে সাত থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানোর প্রয়োজন পড়ে। যদি একটানা বেশ কয়েকদিন ঘুম কম থাকে তাহলে শরীরের উপর বেশ খারাপ প্রভাব পড়ে।
বিশেষ করে ছাত্র জীবনে ঘুমের প্রভাব বেশি পড়তে পারে। যেমন পড়ালেখায় মনোযোগ ক্ষুন্ন হয় এবং বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেয়, খাবার-দাবার রুচি খুঁজে পাওয়া যায় না। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে পরিমিত এবং নিয়মিত ঘুম মানুষের শরীরের সাথে নিবিড় ভাবে জড়িত। কম ঘুমের কুফল হয়ে যাবে উচ্চ ধরনের ওজনের সাথে যুক্ত হয়। আর ভালো ঘুমে কম ক্যালোরি খাবার প্রভাবিত থাকে।
ভালো ঘুম আপনার ঘনত্ব উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি কাজকর্ম এবং খেলাধুলার ভালো পারফরমেন্স দেয়। তাছাড়া ভালো ঘুম প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কার্ডিওভাসকুলা রোগ প্রতিরোধ এবং মেজাজ উন্নতি করতে সহায়তা করে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমালে স্থূলতা, হার্টের রোগ,গ্লুকোজ বিপাক, টাইপ থ্রি ডায়াবেটিকস, এবং বিভিন্ন দুর্ঘটনা হওয়ার চান্স থাকে। সুতরাং আপনি যদি দিন দিন খারাপ স্বাস্থ্যের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন তাহলে নিয়মিত এবং পরিমিত ঘুমানোর চেষ্টা করুন। ভালো ঘুমের জন্য ঘুমের পূর্বে কিছু নিয়ম মেনে ঘুমানো খুবই জরুরী।
৫. শরীর সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়াম - নিজের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দেওয়া - খাবার পানি ঘুমের পর যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তা হল নিজের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দেওয়া। অনেকে আছেন বিভিন্ন চাপে নিজের ইচ্ছাগুলোকে চাপিয়ে রাখে প্রকাশ করার ভীতি কাজ করে। ভালোলাগা খারাপ লাগার গুলোকে চাপিয়ে রেখে নিজের ভিতরে নিজের সাথে লড়াই করে। তবে একটা কথা সবসময় সত্য যে নিজের স্বাদ আহ্লাদ ভালোলাগা খারাপ লাগা গুলোকে নিজের মধ্যে চাপিয়ে রাখে আর যাই করা যাক কিন্তু ভালো এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যায় না।
তাই নিজেকে নিজের ইচ্ছে গুলোকে সফলতার সাথে গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করা উচিত। বৃটেনের এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সারসাইজ বিষয়ক শিক্ষক ডক্টর নেভাইড সেমি এর মতে নিজেদের মনের উপরে বিশেষ খেয়াল রাখা দরকার। আত্ম সচেতনতা বাড়িয়ে মনের উপর নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। এই আত্মনির্ভরশীলতা এমনই একটি বিষয় যা মানুষের ভালোলাগা খারাপ লাগা ইচ্ছে গুলোকে ভালোভাবে চিনতে সাহায্য করে।
এই চেনার মাধ্যমে নিজের অনুভূতিগুলোকে ভালোভাবে বোঝা যায়, বিভিন্ন রকমের ক্লান্ত এবং দুর্বলতাকে কাটিয়ে ওঠা যায়। যা পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতির উপর প্রভাব ফেলে।
৬. শরীর সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়াম - নিয়মিত শরীরচর্চা করুন - নিয়মিত সরিষা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত অনুশীলন ওজন রাশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাছাড়া, হৃদরোগ,স্ট্রোক,টাইপ টু ডায়াবেটিস এমনকি ক্যান্সারের মত কিছু গুরুত্বপূর্ণ রোগের থেকে ঝুঁকি ৫০% পর্যন্ত কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। এবং ৩০% পর্যন্ত মিথ্যে ঝুঁকি কমায়। সপ্তাহে ৫ দিন ৩০ মিনিট করে নির্দিষ্ট সময় ব্যায়াম করলে সুস্বাস্থ্য ধরে রাখা সম্ভব। এবং ৮৫% স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। আপনি যত অনুশীলন করবেন আপনার শরীরের তত প্রতিরক্ষা শক্তি বৃদ্ধি পাবে, এবং দীর্ঘ মেয়েদের সুবিধা পাবেন।
৭. স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কি করা উচিত - পর্যাপ্ত আলো বাতাস গ্রহণ - সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত আলো বাতাস গ্রহণ সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য মৌলিক বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। মূলত সূর্যের আলোতে ভিটামিন ডি ছাড়াও আরো রয়েছে বিশেষ কিছু গুণ, যা মানুষের দুর্বল হার শক্ত করতে রক্তচাপ কমাতে হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে।
এছাড়া পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ফলে মানুষের মন মেজাজ এবং দেহ ভালো থাকে। মানসিক এবং শারীরিক দিক থেকে নিজেকে সুস্থ বোধ করে। এজন্যই নিয়মিত এবং পরিমিত আলো বাতাস শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি হাতিয়ার। আপনি যে ঘরে বা রুমে থাকেন সেই রুমকে বা ঘরকে এমনভাবে স্থাপন করতে হবে যেন সূর্যের আলো পর্যাপ্ত পরিমাণে আপনার ঘরের মধ্যে সব সময় প্রবেশ করতে পারে।
এছাড়াও ভিটামিন ডি পাওয়ার জন্য প্রতিদিন ভোরবেলা হাটাহাটি করতে পারেন। ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী ভোর বেলায় হাটা শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
৮. শরীর সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়াম - স্বাস্থ্য সেবায় বিনিয়োগ করুন - আপনি যখন অসুস্থ বোধ করেন তখন আপনার শারীরিক এবং মানসিক অসুস্থতার জন্য প্রতিনিয়ত চেকআপ করুন এবং নিয়মিত ডাক্তারের সঠিক পরামর্শ নিন এবং সেগুলো মেনটেন করার চেষ্টা করুন। হঠাৎ অসুস্থ হওয়ার ফলে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে টেলিমেডিশনে সেবার মাধ্যমে সুস্থতা সম্ভব।
৯. শরীর সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়াম - হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন - মানুষের মনের সাথে শরীরের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। যে যত বেশি হাসিখুশি থাকতে পারবে সে তত বেশি সুস্থতা ধরে রাখতে পারবে। মূলত হাসিখুশি থাকা প্রয়োজন মন মেজাজ ধরে রাখার জন্য, কারণ হাসি খুশি থাকার ফলে মানুষের মন ভালো থাকে। তবে মানুষের এমন ধারণা হয় যে কৃত্রিম হাসি মানুষের শরীরের জন্য কোন উপকার হয় কিনা? বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করে যে আপনি যেমন ভাবে হাসুন না কেন সকল হাসি আপনার শরীরের জন্য উপকারী। সেটা হতে পারে কৃত্রিম অথবা প্রাকৃতিক।
শরীর সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়াম - শেষ কথা
শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আজকের আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সকল পয়েন্ট গুলো খুব ভালোভাবে মেনে চলুন। এবং আশেপাশে নিয়মিত রক্তদান করার চেষ্টা করুন কারণ রক্তদান মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এছাড়া ডায়েট অনুশীলন স্বাস্থ্যসেবা এবং নিয়মিত ঘুমের সঠিক রুটিন এর মধ্যে থাকলে। আপনি দীর্ঘ সময় ধরে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে পারবেন। তবে এর পাশাপাশি অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।জিম সম্পর্কিত যেকোন তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। এবং আমাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য আমাদের about us পেইজ ভিজিট করুন। যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট স্বল্প মূল্যে তৈরি করার জন্য আমাদেরকে নক করতে পারেন ।